প্রেমের টানে শ্রীপুরে আমেরিকান তরুণী
![]() |
ছবি সংগৃহীত |
গাজীপুরে জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী ( কুমারভিটা) গ্রামের মো ইমরান খান নামে একজন যুবকের সাথে সম্পর্কের জেরে আমেরিকার একজন তরুণী সব কিছু ছেড়ে চলে এসেছেন বাংলাদেশে।
মেয়েটির নাম লিডিয়া লুজা খান
সে গত সোমবার (১১ জুলাই ২২ ইং) ভোর তিনটার সময় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সেখানে এয়ারপোর্টে ইমরান খান তাকে স্বাগত জানান। এরপর তাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ঈদের পরদিন ভিন-দেশি এক নারী পরিবারের সদস্য হয়ে আসার কারণে ওই পরিবারে এবারের ঈদটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
লিডিয়া লুজা তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার শহরের একজন বাসিন্দা। তার বাবা নেই, মা অন্য পরিবারের একজন সদস্য। দুই ভাইয়ের মধ্যে একটি মাত্র বোন সে। ছোটবেলা থেকে লুজা দাদুর কাছেই বড় হয়েছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে তার নামের সাথে স্বামীর পরিবারিক উপাধি হিসেবে ‘খান’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে।
মোঃ ইমরান খান তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমীর কুমারভিটা এলাকার মৃত মো জালাল উদ্দিন (মাস্টারে)র ছেলে। সে বর্তমান ইস্টওয়েস্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।
লিডিয়া লুজা তিনি বলেন যে আমাদের ফেসবুকে পরিচয়, পরে আলাপ-চারিতায় ইমরানকে তার ভালো লাগে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমি ধর্মান্তরিত হয়ে ইমরান কে বিয়ে করেছি।
সে আরও বলেন, ইমরান একজন সৎ মানুষ। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের মানুষও সৎ।
এই প্রকৃতির মত এই দেশের মানুষগুলো-ও সহজও সরল। এই এলাকার মানুষ ইংরেজি না জানার কারণে ভাববিনিময়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লুজা।
লুজা তিনি আরও বলেন, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম অসুস্থ। তাই মাঝে মাঝে আমেরিকাতে যাবেন এবং বেশিরভাগই স্বামীর সাথে বাড়িতেই থাকবেন। শাশুড়ি কিছুটা সুস্থ হলে ইমরানকে নিয়ে আমেরিকায় তিনি বসবাস শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মো ইমরান বলেন, জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়।
মাস-খানেক পরই লুজা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে আমি বিয়ের বিষয়টা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
তারপর মার্চ মাসের প্রথম দিয়ে আমেরিকা থেকে তুর্কি হয়ে সে বাংলাদেশে চলে আসে। আমেরিকার নাগরিক হওয়ার কারণে তার ধারণা ছিল ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে আসতে পারবে। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ লুজাকে ফেরত পাঠায়।
ইমরান তিনি আরও জানান, তারপর উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে তারা দুজনে নেপালে সাক্ষাৎ করেন।
ওই সময় তারা দুজনে নেপালের একটি বড় মসজিদে তারা উভয়ে বিয়ে করেন। লুজার সাথে কেউ না থাকলেও ইমরানের সাথে ঐ সময় পরিবারের লোকজন ছিলেন। ঐখানে কয়েক দিন তারা অবকাশ কাটিয়ে যার যার দেশে ফেরেন লুজা এবং ইমরান। অতপর ইমরানের সহযোগিতার মাধ্যমে ভিসা সম্পাদনের মাধ্যদিয়ে ১১ জুলাই সোমবার লুজা বাংলাদেশে আসেন।
ইমরানের একজন প্রতিবেশী মো বাবুল মিয়া বলেন, অনেকেই এই দুই (দম্পতিকে) দেখতে আসছেন। আমেরিকা-র ফুরি ( মেয়ে) বলে কথা। তা আবার বাংলাদেশি এক যুবকের প্রেমের টানে একেবারেই চলে এসেছেন। বিষয়টিতে এই এলাকার মানুষ সবাই অনেক খুশি।
ইমরানের মা আনোয়ারা বলেন, আমেরিকার মেয়েকে আমার ছেলে বিয়ে করায় খুশি হয়েছি। যেহেতু ধর্মান্ত-রিত হয়ে তারা এ বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন, সে-জন্য পারিবারিকভাবে আমরা মেনে নিতে কোন সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি।
No comments