কিশোরগঞ্জের হাটে ৩৬ মণের দেওয়ান সাহেব, দাম ১২ লাখ
![]() |
ছবি সংগৃহীত |
কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় এবারের কোরবানির হাটের মধ্যে চমক সৃষ্টি করবে ৩৬ মন ওজনের ‘"দেওয়ান সাহেব"’। এর দাম চাওয়া হচ্ছে ১২ লক্ষ টাকা।
ব্রাহমা জা'তের সুন্দর গড়ন, এবং আকর্ষণীয় ফিগার ও দেওয়ানি সাহেব স্টাইলে চলাফেরা করা এই ষাঁড়টি কে দেখার জন্য হোসেনপুর উপজেলার জিনারি ইউপি চরকাটি হারি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল খালেক দেওয়ান এর বাড়িতে ক্রেতা এবং দর্শকদের দিনে দিনে ভিড় বাড়ছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহমা জাতের ষাড় গরুটির দৈর্ঘ্য সাড়ে প্রয় ৮ ফুট এবং উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৫ ফুট এবং ওজন হচ্ছে ৩৬ মনেরও উপরে।
রাতে পাহারা দিয়ে অতি আদর / সোহাগ এবং মায়াবী যতনে ৪৮ মাস ধরে লালন-পালন করে বড় করেছেন এই দেওয়ান সাহেবকে।
নিজের গাভী জাত রিষ্ট-পুষ্ট এই ষাঁড়টির চলন বলন খাওয়া/দাওয়া এবং ঘুমানো সাহেবী সাহেবী ভাব থাকার কারনে ডাদের দেওয়ান বাড়ির নাম অনুসারে তার নামও রাখা হয়েছে দেওয়ান সাহেব।
এই ষাঁড়টিকে প্রতিদিন দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসলের পর ফ্যানের বাতাস দিলেই ষাড়ঁটি ঘুমিয়ে পড়ে।
অতপর ঘুম থেকে উঠেই তার ইচ্ছেমত খাবার খায়। তারপর আবার বিশ্রাম।
মুলত এভাবেই চলছে কিশোরগঞ্জের ‘দেওয়ান সাহেবের’ প্রতিদিনের জীবন।
এই ষাঁড়টির মালিক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল খালেক দেয়ান জানান, কোন প্রকার প্রক্রিয়াজাত খাবার ছাড়াই
চিড়া, কাঁঠাল, পাকা কলা, ভুসি,, খড় ইত্যাদি দেশী এবং সকল প্রকার কেমিক্যালমুক্ত খাবার খাওয়ায়ে দেওয়ান সাহেবকে বড় করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান গরুর খাদ্যের মূল্য/বৃদ্ধিতে গরু ও ষাঁড় লালন পালন করতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। তবে তিনি আশা করে বলেন এবারের কোরবানির মধ্যে ক্রেতা এবং দর্শকদের মনোযোগ আকৃষ্ট করবে ষাঁড়টি। এবং ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে তিনি তার পরিবার/পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব, আব্দুল মান্নান জানান, ব্রাহমা জাতের এই ষাঁড়টি লালন/পালনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের এই ষাঁড়টি হোসেনপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হবে বলে তিনি আশা করছেন।
আসন্ন এই কোরবানির ঈদে ""দেওয়ান সাহেব""
কে ভালো দামে বিক্রিও করা যাবে বলেও তিনি আশা করছেন ।
No comments